"ঘরকুণো"যে শব্দটা আছে।সেটা কখনো আমার সাথে যেতো না।কোনোরকম বন্ধ পেলেই ঘুরাঘুরি।সবাই জানত আমার পায়ের তলায় শর্ষে।ঈদের ছুটি,পূজোর ছুটি,গ্রীষ্মকালীন,শীতকালীন ছুটি এলেই মা-বাবার কাছে বায়না ধরতাম।অবশ্য কেউ বাধা দেয়নি কখনো।পরিবারের সাথেই ছুটে যাওয়া হতো।বিশেষ করে গ্রামের বাড়িতে।চট্টগ্রামের অদূরেই বাঁশখালীতে আমার গ্রামের বাড়ি।গ্রামের সাথে আমার একটা নিবিড় সম্পর্ক,শেকড়ের টান আছে।কাদা মাখামাখি করে খালে ঝাপ দেওয়া,ডাব পাড়া,খড় দিয়ে আগুন জ্বালানো,গরুর দুধ চুরি করে খাওয়া,চুরি করে আম_ বড়ই পাড়া,দৌড়ানি খাওয়া,শীতকালে রসের হাড়ি চুরি করা,ঢাং-গুলি খেলা,রাতে ঝুপ-ঝাড়ে চোর পুলিশ খেলা!কত মধুর সময়!
আর এখন "ঘরকুণো" কাকে বলে তার একটা বড় উদাহারণ আমি।ছুটি পেলে লম্বা একটা ঘুম,মুভি,বই এগুলো নিয়ে পড়ে থাকা।চ্যাটিংময় জীবণ তো আছেই!নিজেকে ঘরকুণোর দাসে পরিণত করেছি।সময়গুলো চোখের পলকে হত্যা করছি।
এখন তো আমার যান্ত্রিক সংসার হয়েছে।
সেখানে মাতৃত্বের টান বা শেকড়ের টান বলে কিছু নেই।