খুব সম্ভবত হারিয়ে যাচ্ছি।এই হারিয়ে যাওয়া নেই আক্ষেপ নেই,  নেই কোন অনুশোচনা। অদ্ভুত সব কল্পনার ভিড়ে হারয়ে যাচ্ছি। এই যে আমি ভীষণ একা,  এড়িয়ে যাচ্ছি তোমাদের। তোমাদের নাগরিক জীবন, কোলাহল  কিছুই যে আমাকে আর ছুঁতে পারছেনা। মূল্যবোধ ,  অনুভূতি দিয়ে গড়া একটা  প্রান খুব সহজে তোমাদের চোখের  আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে সে খবর তোমাদের জানা নেই।না জানাই ভালো। সব জেনে গেলে যে আর সেটার মজা থাকেনা। মানুষ অদ্ভুত প্রানী,  তার সাথে কল্পনার যে এক গভীর সম্পর্ক।  সেখান থেকে সে চলে যায় দূর থেকে বহুদূরে। কেউ হয়ত অপেক্ষা করে,  তাকে খুঁজে। আমাকেও কি কেউ ঢাকছে? 
জানা নেই।
জানতেও চাইনা।
তবে হারিয়ে যাচ্ছি,  ফুরিয়ে যাচ্ছি
এটাই জরুরি খবর।

ফাল্গুনী রায়ের " ব্যক্তিগত নিয়ন " কবিতাটা যেন আমারই প্রতিচ্ছবি।

আমি পুরোপুরি প্রতিভাহীন তাই নাকে জিভ ঠেকিয়ে
প্রমাণ করি প্রতিভা
কখনও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সাম্নে দিয়ে হাঁটতে
হাঁটতে ভাবি – একদিন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় যে-রাস্তা দিয়ে হেঁটেছিলেন
সে-রাস্তায় আমি, অপদার্থ, ফালগুনী রায় হেঁটে যাচ্ছি, কখনও ট্রামের
সেকেন্ড ক্লাসে উঠে ভাবি – এই ট্রামটাই কি জীবনানন্দের
শরীর থেঁতলে দিয়েছিল
এইভাবেই আমি চলেছি – চলেছে পৃথিবী সূর্য নক্ষত্র আমার
আমার ভ্রূণমুহূর্তে আরেক মৃত্যু নেমে এসেছিল সৌরসংসারে
আমার এক বন্ধু বারে বসে দূর-দেশের দামি মদ খায় প্রায়ই –
সে খুব রেগেমেগে শালা তাড়িখোর গাঁজাখোর বলেছিল
একদিন আমায়
একলব্যর বুড়ো আঙুল কেড়ে নেবার জন্যে
আমি দ্রোণাচার্যকে হত্যাকারী মনে করি –